রমজানের আগে লাফিয়ে বাড়ছে লেবু-শসা-বেগুনের দাম, স্থিতিশীল ডাল-ছোলা-চিনি
রমজান সামনে রেখে রাজধানীর বাজারগুলো ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট। তবে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় লেবু, শসা ও বেগুনের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সাধারণ ভোক্তাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, ছোলা, ডাল ও চিনির দাম স্থিতিশীল থাকায় কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন ক্রেতারা।
অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে লেবু, শসা ও বেগুনের দাম।
শনিবার (১ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক হালি লেবুর দাম ৬০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে, যেখানে স্বাভাবিক সময়ে এ দাম অনেক কম থাকে। শসা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ১২০ টাকা কেজি, আর বেগুনের কেজি ৬০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত গিয়েছে। সরবরাহ যথেষ্ট থাকলেও চাহিদার অজুহাতে বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
কৃষি অর্থনীতিবিদদের মতে, দাম বাড়ার যৌক্তিকতা নেই
বাজার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে কৃষি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, "শীতের মৌসুম শেষে সরবরাহ কিছুটা কমেছে, তবে দাম বৃদ্ধির হার অস্বাভাবিক। এখানে সরকারি সংস্থাগুলোর কার্যকর ভূমিকা রাখা জরুরি, যাতে বাজারে ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা যায়।"
স্বস্তির জায়গায় ছোলা, ডাল ও চিনি :
অতিরিক্ত চাহিদার মধ্যেও কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। ছোলা, ডাল, বেসন ও চিনির সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকায় এসব পণ্যের বাজারে বাড়তি চাপ পড়েনি। ফলে ক্রেতারা স্বস্তি পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
মাংসের বাজারেও বেড়েছে উত্তাপ :
গেল সপ্তাহের তুলনায় গরু ও খাসির মাংসের দাম কেজিতে ১৫০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ টাকা। এতে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত ক্রেতারা চাপের মধ্যে পড়ছেন।
বাজারে নজরদারি বাড়ানোর দাবি :
অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি রোধে সরকারি সংস্থাগুলোর তদারকি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ক্রেতারা। ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
শেষ কথা : রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা বাড়লেও, বাজার ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সক্রিয় হস্তক্ষেপ জরুরি। অন্যথায় সাধারণ ভোক্তাদের জন্য ভোগান্তি আরও বাড়বে।